হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার চান্দপুর চা বাগানের একটি বাসায় কদম গাছে মানুষের আকৃতির একটি মুখ ভেসে উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে এ নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহলের পাশাপাশি শত শত হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা গাছের নিচে ভক্তি, অর্থ দান ও পূজা দিচ্ছেন।
এ ঘটনায় গাছে ভেসে উঠা ওই ছবি দেখতে ভিড় করছেন কৌতূহলী মানুষও। গাছটি একনজর দেখতে বাগানের বাইরে থেকেও আসছেন মুসলিমসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন।
উপজেলার চান্দপুর চা বাগানের সুভাষ সর্দারের বাসায় একটি কদম গাছের ডাল কাটার কিছুদিন পর মানুষের মুখের আকৃতির একটি ছবি ভেসে উঠে। গত সোমবার সুভাষ সর্দারের ছেলে সজল মহালীর স্ত্রী স্বপ্না মহালীর চোখে প্রথমে বিষয়টি ধরা পড়ে। পরদিন বিষয়টি জানাজানি হলে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে।
একপর্যায়ে বুধবার থেকে স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বী চা শ্রমিকরা এটিকে দেবতা মনে করে এ গাছের নিচে ভক্তি, অর্থদান ও পূজা অর্চনা শুরু করেন। এরপর থেকেই শত শত হিন্দু ধর্মাবলম্বী সুভাষ সর্দারের বাড়িতে ভিড় করছেন গাছটি দেখার জন্য। তারা গাছে এ ধরনের মূর্তি আকৃতির মানুষের মুখ দেখে ভক্তি দেয়া ও পূজা দিতে শুরু করেন। অনেকেই গাছের নিচে টাকা-পয়সা দান করছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, মাঝারি একটি কদম গাছের প্রায় ৬ ফুট উপরে একটি ঢাল কাটা অংশে মানুষের অবিকল মুখ, চোখ, নাক ভেসে উঠেছে। আর এটি দেখতে দলে দলে মানুষ আসছেন আর গাছের নিচে গিয়ে ভক্তি ও পূজা দিচ্ছেন। অনেকেই মানত করে অর্থদান করছেন।
সুভাষ সর্দার জানান, বিষয়টি কীভাবে মানুষ জানল আমি জানি না। এখন শত শত মানুষ তার বাড়িতে আসছেন এটি দেখতে। অনেকেই ভক্তি ও পূজা দিচ্ছেন।
পাশের ঘরের স্বপন মহালী জানান, কদম গাছে আমাদের কৃষ্ণ থাকে। তাই আমাদের ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে পূজা অর্চনা দিচ্ছেন। অনেকেই টাকাও দিচ্ছেন।
জোয়াল ভাঙ্গা থেকে আসা সৌমিত্র পাল জানান, চা শ্রমিকরা এটিকে কৃষ্ণের রূপ মনে করে পূজা অর্চনা দিচ্ছেন।
সুভাষের স্ত্রী জয়ন্তী মহালী এখন এ গাছের সেবা করছেন এবং পূজার কাজ করছেন। তিনি জানান, আমি বুধবার রাতে স্বপ্নেও দেখেছি শ্রী কৃষ্ণকে। তাই এ গাছের সেবার প্রতি তার মনোযোগ আরও বেড়ে গেছে।