শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট মুরারীচাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। এমসি কলেজ থেকে স্বামীসহ ওই তরুণীকে ধরে এনে ছাত্রলীগের ৫/৬ জন নেতা গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশের তরফ থেকে জানা গেছে, তরুণীকে ধর্ষণের সাথে ছাত্রলীগের ৬জন নেতা জড়িত ছিলেন।
জানা যায়, এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও কলেজটিতে ইংরেজিতে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত শাহ মাহবুবুর রহমান রণি, একই শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান মাছুম, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম সাইফুর রহমান, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা অর্জুন এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ও তারেক।
এদের মধ্যে সাইফুর রহমানের বাড়ি বালাগঞ্জে, রবিউলের বাড়ি দিরাইয়ে, মাহফুজুর রহমান মাছুমের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলায়, অর্জুনের বাড়ি জকিগঞ্জে, রণি হবিগঞ্জের এবং তারেক জগন্নাথপুরের বাসিন্দা।
শুক্রবার রাত ২টায় শেষখবর পাওয়া পর্যন্ত এদের কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন শাহপরান থানার উপর পরিদর্শক (এসআই) লিপটন পুরকায়স্থ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে স্ত্রীকে নিয়ে প্রাইভেটকারে করে এমসি কলেজে বেড়াতে যান দক্ষিণ সুরমা এলাকার এক যুবক। বিকেলে এমসি কলেজের ছাত্রলীগের ছয়জন নেতা তাদের ধরে ছাত্রাবাসে নিয়ে আসেন। এই ছাত্রনেতাদের প্রত্যেকেই ছাত্রাবাসে থাকেন।
এরপর ছাত্রাবাসে এনে এই দম্পত্তিকে প্রথমে মারধর করেন তারা। পরে তরুণীকে গণধর্ষণ করেন।
শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম চৌধুরী জানান, এক দম্পতিকে আটকে রাখা হয়েছে খবর পেয়েই আমরা এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে যাই। এরপর সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করি। পরে ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীকে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে