বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী মিন্নিসহ ছয় জনের ফাঁসির আদেশ শোনার পরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন দন্ডপ্রাপ্তদের স্বজনরা। বুধবার বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান ২শ পৃষ্ঠার এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় শুনে আদলত চত্বরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে আসামিদের বিকেল ৩টার দিকে যখন আদালত থেকে প্রিজনভ্যানে কারাগারে নেওয়া হয় তখন সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা স্বজনরা কান্না ও আহাজারি করতে থাকেন।
এসময় তারা গণমাধ্যমকর্মীদের ছবি তুলতে নিষেধ করেন। এদিকে রায় ঘোষণার পর মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হক কি’শোর প্রথমে আ’দালত প্রাঙ্গণ থেকে বেরিয়ে যান। তিনি ন্যায় বিচার না পাওয়ার কথা জানান। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন মিন্নির ফাঁ’সির দ’ণ্ডের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
এদিকে মিন্নির বাবার মতো তার পক্ষের আইনজীবীও রায় ঘোষণার পরপরই আ’দালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন। তারা জানান, এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবেন।
রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি, রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় ও মো. হাসান। খালাস পেয়েছেন মো. মুসা, রাফিউল ইসলাম রাব্বী, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।