লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় নিখোঁজের ৫ দিন পর তিস্তা নদী থেকে শহিদুল ইসলামে (২২) অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, চিকিৎসার টাকার অভাবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের চর চণ্ডিমারী এলাকায় তিস্তা নদীতে তার মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে এলাকাবাসী নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন।
নিহত শহিদুল ইসলাম উপজেলার ফকিরপাড়া ইউপির দালালপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তিনি লালমনিরহাট টেকনিক্যাল কলেজের আর্নাস প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
নিহতের বড়ভাই হাফিজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, দীর্ঘদিন থেকে শহিদুল কিডনি রোগে ভুগছিল। কিডনি ডায়ালাইসিস সহ চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে সব বিক্রি করে দিয়েছি। গত ৬ অক্টোবর সে বাড়ি থেকে বাজারের উদ্দেশে বেরিয়ে গেলে আর ফিরে আসেনি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর থানায় একটি জিডি করা হয়। পরে আজ তিস্তা নদীতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে ফকিরপাড়া ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য মফিজ উদ্দিন বলেন, চিকিৎসা করতে গিয়ে তার পরিবার সব বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে গেছে। তাই সে অভিমান করে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, তিস্তায় মরদেহে ভাসছে খবর শুনে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। আগামিকাল ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।